মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ অপরাহ্ন
খুলনা নগরীর কেসিসি মার্কেটে গুলি করে জাকির মুহুরিকে হত্যা মামলার আসামি তার সহকারী খন্দকার বাহাউদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশের (পিবিআই) ৭দিনের রিমান্ড আবেদনের বিপরীতে ২ দিন মঞ্জুর করা হয়েছে। খুলনার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুমি আহমেদ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৮ মার্চ) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এসআই পলাশ চন্দ্র রায় আসামিকে আদালতে হাজির করে ৭দিনের রিমাণ্ডের আবেদন করেন। বাহাউদ্দিন বয়রা এলাকার আব্দুস ছাত্তার খন্দকারের ছেলে। এর আগে সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে অর্থের যোগানদাতা ও খুনের পরিকল্পনাকারী হিসেবে বাহাউদ্দিন খন্দকারকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
পিবিআই সুত্র জানায়, জাকির মুহুরির সহকারী হিসেবে কাজ করত বাহাউদ্দিন। তাছাড়া ভিকটিমের তৃতীয় স্ত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিল বাহাউদ্দীনের। এটা জানতে পেরে তাদের সম্পর্কের অবনতি হয়। একপর্যায়ে বাহাউদ্দিন তাকে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে। এক সময়ে সুযোগও এসে যায়। ভাড়াটে খুনী ঠিক করে বাহাউদ্দিন। ২০১২ সালের ২০মে সন্ধ্যায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার চেম্বারের সামনে যায়। অফিস বন্ধ করে বাড়ি যাওয়ার প্রস্তুতির সময় সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি ঘটার দু’দিন আগে বাহাউদ্দিন নেপালে চলে যায়। ৫ দিন পর তিনি দেশে ফেরেন। ফিরে তিনি উচ্চ আদালত থেকে গ্রেপ্তারসহ হয়রানি না করার জন্য মিস পিটিশন মামলা করেন। যার নং ৭০৫৯/১২। উক্ত মিসপিটিশনটি দীর্ঘ শুনানি শেষে গত বছর নিস্পত্তি করা হয়। নিস্পত্তি আদেশ পাওয়ায় সোমবার রাতে বয়রা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলাটি পিবিআই এর আগে সদর থানা পুলিশ, পরে ডিবি, এরপর সিআইডি গ্রহণ করে। ৭ বছর তদন্ত করে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। পরবর্তীতে বাদীর না রাজি পিটিশনে মামলাটি তদন্তের জন্য আদালত পিবিআইকে নির্দেশ দেয়। বাহাউদ্দিন গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশের নিকট গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। হত্যাকান্ডে জড়িত আছে এমন আরও এক ব্যক্তির নাম বলেছে। ২০১৯ সালে মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইয়ের এসআই পলাশ চন্দ্র রায়। তিনি বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেন। তারপর এর ক্লু বের করতে সক্ষম হন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA